রেমিট্যান্স দুই দিনের মধ্যে সুবিধাভোগীর হিসাবে পাঠানোর নির্দেশ

প্রশান্তি ডেক্স ॥ রেমিট্যান্সের অর্থ প্রবাসীর নির্ধারিত ব্যক্তি বা সুবিধাভোগীর হিসাবে সময়মতো জমা দিচ্ছে না কিছু ব্যাংক। ফলে প্রবাসীর পাঠানো অর্থ পেতে দেরি হচ্ছে। এ অবস্থায় রেমিট্যান্স পাঠানোর দুই দিনের মধ্যে টাকা প্রবাসীর মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তান কিংবা নির্ধারিত ব্যক্তি বা সুবিধাভোগীর হিসাবে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংককে পাঠিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে- প্রবাসী রেমিট্যান্সের অর্থ বেনিফিশিয়ারির কাছে বিতরণের নিয়ম সঠিকভাবে পরিপালন করা হচ্ছে না। তাই নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমা দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রবাসী রেমিট্যান্সের অর্থ যথাযথভাবে বেনিফিশিয়ারির কাছে বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বৈধ পথে ও ব্যাংকের মাধ্যমে আশানুরূপ রেমিট্যান্স পাচ্ছে না দেশ। আগের ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে। সবশেষ ১৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন তথ্য বলছে, অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৮ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। দৈনিক এসেছে গড়ে ৬ কোটি মার্কিন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর সবশেষ সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৪ কোটি ডলার, যা গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.