নির্বাচন ও রাজনৈতিক দল

নির্বাচন ও রাজনৈতি দল এই দুটি শব্দ উৎপ্রোতভাবে জড়িত। তবে একটিকে ছাড়া আরেকটি অসম্পূর্ন। এইক্ষেত্রে আবার তৃতীয় একটি শব্দ যোগ হয়েছে স্বতন্ত্র। তবে এই তিনে একাকার হয়েছে নির্বাচন। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের যোগসূত্র এমনকি ভুমিকা বেশী। সেই ক্ষেত্রে আমাদের আগামী দ্বাদশ নির্বাচন এখন চলমান। এই চলমানতা কিন্তু স্থবির হতে পারে না। বরং এই নির্বাচন আরো সুন্দর এমনকি মনোরম আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ, পরিস্থিতি ও আগামীর কল্যাণে ভুমিকা রাখার একটি মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে  এই নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করে দেশ ও জাতি গঠনে ভুমিকা রাখতে পারেন। নের্তৃত্বের বহি:প্রকাশই আগামীর শান্তি, শৃঙ্খলা এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি পরিলক্ষিত হওয়া সকল কর্মকান্ড। তাই নের্তৃত্ব নির্বাচনে মনযোগী হওয়া গুরুত্বপূর্ন। দেশ এবং দেশবাসির সামনে এখন সুযোগ এসেছে আগামীর ভবিষ্যত নিশ্চিত করার। তাই নির্বাচনী ডামাডোলে সঠিক ব্যক্তি ও দল নির্বাচন করা এখন জরুরী বা ফরজে আইনে পরিণত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনারের অধিনে এখন দেশে নির্বাচন পরিচালনার কার্য সম্পাদনে সময় এগিয়ে এমনকি ফুড়িয়ে যাচ্ছে। আর দেশের জনগণ এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী জোয়ারে ঝাপিয়ে পড়েছে। তবে এইক্ষেত্রে আবার ভিন্নতাও পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখানে কতগুলো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন বানচালের ষঢ়যন্ত্র করছে। তবে এই ক্ষেত্রে নির্বাচনে আসা বা না আসার স্বাধীনতা সকল দল ও মতেরই নিজস্ব এখতিয়ারে রয়েছে। এখানে কেউ কাউকে বল প্রয়োগ করে যুক্ত করতে বা বিতারিত করতে পারেন না। তাই স্বাধীনতার শতভাগ ভোগ করার অধিকারে বাংলাদেশ এগিয়ে এটাও একটি প্রমান। স্বাধীন মতামত প্রদান এবং স্বাধীনভাবে পথ চলায় কেউ কারো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না এই নির্বাচনও তার একটি উদাহরণ। তবে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য এমনকি দেশবিরোধী কোন কার্যকলাপে যুক্ত হলে বা হয়ে থাকলে তাকে দমন করা এবং শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এমনকি দেশবাসীকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তায় শতভাগ সুনিশ্চিত করা সরকার বা প্রশাসন এর দায়িত্ব। আর এতে সহযোগীতা করা জনগণের মৌলিক ও মানবিক এবং রাষ্ট্রীয় নাগরিকত্বের উপর বর্তানো দায়িত্ব।

নির্বাচন হলো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাণভোমরা। নির্বাচন ব্যতিরেখে কোন দল তার কর্মকান্ড এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন ও জনসম্পৃক্ততা যাচায় করতে পারেন না এমনকি দলকে জিবিত রাখার ক্ষেত্রে এই নির্বাচনকে বাদ দেয়ার কোন সুযোগও নেই। যদি কেহ এই ভুল কাজগুলো বার বার করে থাকেন এবং করার মানুষিকতা দৃশ্যমান করেন তাহলে নিজ সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করার মতই দলটিকে হত্যা করেন। আর এই হত্যা ও দাফন কার্য্য সম্পাদন করে নিজেরা দেওলিয়া এমনকি দেশান্তরিত হয়ে থাকেন। এটাই হলো ইতিহাসের কঠিন শিক্ষা।

ইদানিং আমাদের দেশে রাজনীতিতে ধ্বস নামতে দেখা যাচ্ছে। কারণ দক্ষ রাজনৈতিক নেতা বা নের্তৃত্বের অভাবে। রাজনীতিকে একটি কথা আছে চেইন অব কমান্ড এবং এর সঙ্গে সর্বস্তরের গ্রহণযোগ্যতা। গ্রহণযোগ্যতা একটি অতি উর্বর শব্দ; আর এই উর্বর শব্দটি দেশে-বিদেশ এমনকি দলে ও বিরোধী পক্ষে সর্বদিকে সর্বাধিক শ্রদ্ধার এবং ভালবাসার আর বিশ্বাস ও আস্থার উপর নির্ভরশীল। এই ক্ষেত্রে রাজনীতি এখন কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে। একটি দলের গ্রহণযোগ্যতা তুঙ্গে অপরদিকে আরেকটি দলের গ্রহনযোগ্যতা তলানীতে। তবে এই দুইদল কেন্দ্রীক রাজনীতির অবসান এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আগামীতে দেশে রাজনৈতিক নেতা শুন্যতা এমনকি রাজনীতি বিমুখতা পরিলক্ষিত হবে। তবে যতদিন শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবে ততদিন রাজনীতি এবং নির্বাচন ও অর্থনীতি এবং উন্নয়ন-অগ্রগতি তুঙ্গে থাকবে। এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তৎপরবর্তীতে কঠিন সমিকরণে নির্বাচন ও রাজনীতির অবস্থান হবে।

এইদেশে অনেক রাজনৈতিক দল হয়েছে কিন্তু মেরুদন্ড সোজা আর আদর্শীক জনবান্ধব একটিও হয়নি। যারজন্য গনজোয়ার ও গণজাগরণ অনুপস্থিত। নিজের জন্য করার মানসিকতায় সবাই বেড়ে উঠেছে। দলের ও দেশের জন্য কেউ বেড়ে উঠেনি তাই আজ রাজনীতির এই করুন দশা। ৪৪টি নিবদ্ধিত রাজনৈতিক দল থাকলেও মাত্র দুটি দলই গ্রহণযোগ্য ছিল কিন্তু সেই দুটি থেকে এখন একটিতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। তবে একটির পরিপূর্ণতা মিলবে আগামী নির্বাচনের পর। তাই এই নির্বাচনটি বড়ই জটিল সমিকরনে বিশ্বদরবারে উপস্থিত হয়েছে। কারণ এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশীরা মাথাচারা দিয়ে উঠেছিল কিন্তু সেই উঠাতেই এখন নিরব ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাই দেখার বিষয় হলো জনসম্পৃক্ততা এবং স্বচ্ছতা আর জবাবদিহীতা। এই তিনেই আগামীর কল্যাণ। তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ এবং জনতায় পূর্ণ আর স্বচ্ছতায় আচ্ছাদিত থাকতেই হবে। তাই এখন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা খুব সচেতনভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। যেন কেউ কোন ত্রুটি খুজে বের করার সুযোগ না পায়।

নির্বাচনের দৌঁড়ে যারা অংশ নিয়েছেন তারা বুদ্ধিমান এবং আগামীর কল্যাণকামী। আর যারা নির্বাচনী দৌঁড় প্রতিহতের ডাক দিয়েছেন তারা উলুর পাখ গজানোর পরের ধাপে নিজেদেরকে নিয়ে গেছেন। এখন শুধু পোকায় এবং মিন খ্যা খালাকনাকুম ওয়া মিনহা নুয়িদুকুম নুখরিজুকুম তারাতান উখরার… দশায় বন্দী। তাই এখনও সময় আছে নিজেদের জীবন ও ভাগ্যকে শান্তির হাতে সমর্পণ করার। যদি সময় থাকতে পদক্ষেপ ও চিন্তা এবং কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে বাস্তবতা আর সময়ের দাবি ও চাহিদাকে মূল্যায়ন করে সামনে এগুনোর চেষ্টা করা হয় তাহলে হয়তো রাজনীতির প্রাণবায়ু দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে আগামীর কল্যাণে মিলেমিশে একাকার হতে পারবে। নির্বাচন কমিশনার এবং এই নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সকলের সুস্থ্যতা ও সাফল্য কামনা করি। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী সকল দলগুলোর সাফল্য ও সর্ম্পদ্ধি আর এর মধ্যদিয়ে দেশের মঙ্গল কামনা করে আগামীর প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। প্রশান্তির নবম বর্ষে পদার্পনে সকলের প্রতি, মঙ্গল, নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা এবং দেশের কল্যাণ ও রোগমুক্তি আর বৈদেশিক সম্পর্কন্নোয়ন কামনা করে এই সংখ্যায় লিখার যবনিকা টানলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.