স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইউনিক মডেল দেবে বিটিআরসি: পলক

প্রশান্তি ডেক্স ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার তথা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিটিআরসি নতুন একটা উদাহরণ ও ইউনিক মডেল তৈরি করবে, যা পুরো বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় হবে। যেকোনও পরিস্থিতিতে যাতে টেলিযোগাযোগ সেবা চলমান ও নিরাপদ থাকে তা বিটিআরসি নিশ্চিত করবে।’

গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরির্দশনকালে বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং অ্যাসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার প্রতিমন্ত্রীকে কমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

বৈঠকে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা রক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, রাজস্ব অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফিজিক্যাল সিকিউরিটি নিশ্চিতে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের ম্যাধমে কাজ করে যাচ্ছে বিটিআরসি। ’

সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, ‘সরকার গৃহীত নীতিমালা ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং বিটিআরসিকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।’ আগামীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কাজ করবে বলেও তিনি জানান।

টেলিযোগাযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে বিভাজন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয় জরুরি উল্লেখ করে সভায় এটুআইর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে লাস্ট মাইল ও লাস্ট পার্সন কানেক্টিভিটি হবে মূল অবকাঠামো।’

বিটিআরসি রেগুলেটর হিসেবে নয়, ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘বর্তমানে ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলশ্রুতিতে এখাতে বিনিয়োগ হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের। বার্ষিক মোবাইল ফোন উৎপাদন ক্যাপাসিটি তিন কোটির ওপরে।’

তিনি বলেন, ‘বিটিআরসির অনেক কার্যক্রম তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।’ এ জন্য ওই বিভাগের সঙ্গে কমিশনের কার্যক্রমের নিবিড় সম্পর্ক ও সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সভায় আরও ছিলেন বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ; লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন; স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ; অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী; ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাত প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.