কসবায় মাদরাসা ছাত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় নিমবাড়ী গ্রামে মাদরাসা ছাত্রী হোসনে আরা রত্মা (১৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার পিতার দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী রতন ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে কসবা থানা পুলিশ। গত রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কসবা থানা ওসি মোঃ রাজু আহাম্মেদের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক কামাল হোসেন সংগীয় ফোর্স নিয়ে পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস ষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে রতন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রতন মিয়া উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ী গ্রামের মৃত সুদন ভ’ইয়ার ছেলে। গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত রতন মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১০ জানুয়ারি মাদরাসা ছাত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা হওয়ার পর পলাতক আসামীদের খুঁজতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নেয়া হয়। রোববার রাত প্রায় নয়টার দিকে পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় তার অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী রতন মিয়াকে গ্রেপÍার করা হয়।

কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহাম্মেদ জানান, মাদরাসা ছাত্রী হোসনে আরা হত্যাকান্ডে মামলার প্রধান আসামী রতন ভ’ইয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। সোমবার তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মুল ঘটনা উৎঘাটন করতে বিজ্ঞ আদালতের নিকট ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ী গ্রামে পান্ডবের গোষ্ঠি ও কাবিলের গোষ্ঠির মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে চলমান দ্বন্ধে কাবিলের গোষ্ঠির লোকজন দ্বারা ২০১৭ সালে পান্ডবের গোষ্ঠির রহিজ মিয়া ও ২০২১ সালে নিহত রহিজ হত্যার প্রধান স্বাক্ষী রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফায়েজ মিয়া  হত্যাকান্ডের শিকার হয়। ওই দুই হত্যা মামলায় কাবিলের গোষ্ঠির শতাধিক লোকজন আসামী। বিগত সময়ের ঘটনার জের ধরে  গত ১০ জানুয়ারি ভোররাতে মাদরাসা ছাত্রী হোসনে আরাকে হত্যার অভিযোগ উঠে পান্ডবের গোষ্ঠির রতন মিয়ার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মামলা করলে পুরুষ শুণ্য হয়ে পড়ে পান্ডবের গোষ্ঠি। এই সুযোগে কিছু বাড়িতে ভয়ভীতি দেখানোসহ লুটের অভিযোগ উঠে কাবিলের গোষ্ঠির লোকজনের বিরুদ্ধে। তবে হোসনেআরা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিবারের দাবী পূর্ব শত্রুতার জেদ মেটাতে এবং দুই হত্যামামলার সাজা থেকে বাঁচতে নিহতের দরিদ্র পরিবারটিকে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে হত্যা করে তাদের ফাঁসাতে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.