নির্বাচন পরবর্তী সম্পর্ক

বাংলাদেশ এবং বিশ্ব সম্পর্ক এখন আগেরই মত তবে নির্বাচন প্রক্কালে দৃশ্যমান জটিলতা কমে এখন স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ ও আশা আকাঙ্খার দোলনচলে এগিয়ে যাওয়ার সুবাতাস বইছে। নির্বাচন পরবর্তী সম্পর্ক নিয়ে জনমনে সংকার আভাস ছিল এবং বুদ্ধিবিক্রি করে খাওয়াদের মোখরোচক আলোচনা ও সমালোচনা বিষয়বস্তুও ছিল। তবে সব জল্পনা ও কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এখন অর্থনীতি ও উন্নয়নের সুবাতাতে ভাসছে বাংলাদেশ তথা নতুন গঠিত সরকার। পৃথিবীর সকল দেশই এই সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং আগ্রহ প্রকাশ করছে নিজ নিজ দেশের সম্পর্কউন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য তথা বিশ্ব রাজনীতির অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার এবং রাখার। এই অবস্থায় নেতিবাচকতার মুখে কোলপ এটে বিদায়ের সুর বাজছে। আর ইতিবাচকতার জয় জয়াকার হয়ে দৃশ্যমান সত্য এগিয়ে যাচ্ছে।

এবার আসুন জনগণ এবং সরকারের মধ্যে যে সম্পর্ক তা দৃশ্যমান। শান্তিপ্রীয় জনগণ এই সরকারকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে দিচ্ছে যেন জনগণের সেবায় এই সরকার শতভাগ মনযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে পারে। বাংলার আপামর জনগণ এই সরকারের রক্ষক হিসেবে কাজ করছে এবং সময়ে সময়ে সতর্ক করে এগিয়ে যেতে পাহাড়াও দিচ্ছে। পাশাপাশি বলতে পারি জনগণের সমর্থনের ফলে বিরোধী মত ও পথ এখন দিশেহারা হয়ে অন্ধকারে সাতরাচ্ছে। কেউ কেউ আবার সরকারের সঙ্গে এমনকি জনগণের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজেদেরকে শান্তিকামী এবং উন্নয়নকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। তবে বিরোধী মত ও পথ এখন দৃশ্যমান সুসম্পর্ক এবং শান্তিতে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী হয়ে সরকারকে মৌন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, সরকার এবং উন্নয়ন। আর এতেই বাংলার জনগণ খুশি।

নির্বাচন এবং সরকারের স্থায়ীত্ব নিয়ে যে উড়ো কথা এবং নিছক সন্দেহ ছিল তা এখন পরিস্কার হয়ে ধুয়ে মুছে শংকামুক্ত ও নির্ভয়ে চলার বাতিঘরে পরিণত হয়েছে।

সরকার এবং প্রশাসন ও জনগণের যোগসূত্র এখন পর্যন্ত দৃশ্যমানভাবে উন্নয়নের গতিশীলতায় এগিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন এবং আমলারা এই সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে দেশোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ও সরকার প্রধান তাঁর নিজ ক্যারিশমায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং সাথে সাথে বাংলাদেশকেও উন্নত এবং সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। আগামী দিনে এই বাংলাদেশ যদি বিশ্ব নের্তৃত্বের দায়িত্ব নেয় তাহলেও বেশী বলা হবে না। এমনি পর্যায়ে এখন বাংলাদেশের মর্যাদার এবং রাষ্ট্রিয় সম্মান সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণই সরকার উন্নয়ন এবং ক্ষমতার কর্ণধার। সরকারকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দেয়ার জন্য এই দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানাই। তিনি এসেছিলেন এবং দেশকে পরখ করেছিলেন ও দেশের চাহিদা এবং আকাঙ্খার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে দেশবাসিকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে এগিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন। কারো একার পক্ষে এই উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রা সম্ভব নয়। তাই দশের লাঠি একার বোঝাটা এখন দশে দশ রূপা লাভ করেছে। সরকার একা নয় বরং সরকারের সঙ্গে রয়েছে এই দেশের জনগণের একটি বৃহৎ অংশ আর এই অংশের বৃদ্ধি দিনে দিনে এখন ৯০ভাগে গিয়ে ঠেকেছে। অদূও ভবিষ্যতে শতভাবে গিয়ে ঠেকবে বৈকি যা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু করে দেখিয়েছিলেন।

নির্বাচন পরবর্তী সরকারের প্রতি জনআখাঙ্খা এখন অতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশেষ করে নিত্য পন্যের লাগাম টানা এবং দলীয় ও দলীয় আশ্রয়ে থাকা লোভী এবং অন্যের ক্ষতিকরা লোকদের নিয়ন্ত্রণে আনা। যদি এই ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয় তাহলে আগামী দিনে সরকারের ভারসাম্যে ফাটল ধরবে নিশ্চিত। এখনও ঘাপটি মেরে বসে থাকারা কিন্তু বসে নেই বরং তারা সুযোগ খুজে ফিরছে আর মোক্ষণ সময়ের প্রতিক্ষায় রয়েছে। তাই মোক্ষম সময় যেন তাদের জীবনে আর ফিরে না আসে সেই ব্যবস্থায় এখন পাকা করার বিবেচ্য বিষয়। সরকারের সঙ্গে যারা লোভী এবং যারা সরকারের আশ্রয়ে থেকে অন্যের ক্ষতি করে নিজেরা সম্পদশালী হয়েছে এবং হচ্ছে তাদের এখনই ধমনে কার্যক্রম শুরু করুন। তাদের দ্বারা সরকারের কোন লাভ নেই বরং ক্ষতিই হচ্ছে। এই নির্বাচনেও ঐসকল লোকেরা কোন ভোটার টানতে পারেনি। তাদের আহবানে কেউ সাড়া দেয়নি এবং দেবেও না বরং সারা সারা দেয় তারা ভোটের সময় গোপনে বিপরীত কাজটুকু করে বৃহৎ ক্ষতিটুকু করে থাকেন। তাই ঐসকল লোকদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করুন। জনগণ তাদের ভয়ে এবং অত্যাচারে পিষ্ট। সম্মুখে তাদেরকে সালাম ও শ্রদ্ধা করতে বাধ্য করেন ঐসকল লোকরা। তাই নিরীহ সমর্থক ও ভোটারদের রক্ষা করুন। দল এবং সরকারের ধারাবাহিক সুনাম ও সম্মান এবং সামনের সমৃদ্ধি রক্ষায় এগিয়ে আসুন।

সরকারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই চলমান ধারাবাহিকতা এবং উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখার জন্য। আগামীদিনের শুভকামনা এবং সহযোগীতা অব্যাহত রাখতে চাই এবং যুক্ত থাকতে চাই আগামীর অগ্রগামীতায়। জয় হওক বাংলা এবং বাংগালী ও সর্বোপরী প্রীয় মার্তৃভূমি এই বাংলাদেশের। দীর্ঘায়ূ হউক সরকার এবং জনগণের সুসম্পর্কের। উন্নয়ন ঘটুকু বিরোধী মত ও পথের আর সমর্থন অর্বাহত রাখুক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ইতিবাচক শিক্ষায় জাগ্রত থাকুক সকলের বিবেক এবং ইতিবাচক কল্যাণে একযোগে কাজ করুন সকলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.