কসবায় শ্লিলতাহানী ও লুটপাটের ১০দিন পর থানায় মামলা রেকর্ড ॥ দুইজন গ্রেফতার

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ কসবা গৃহবধু শিরিন আক্তারের দায়ের করা অভিযোগের ১০ দিন পর মামলা নিয়ে দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করলেন পুলিশ। তাও আবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঢাকা অফিসে নালিশের পর। এ ঘটনায় রীতিমত হতবাক কসবার শিক্ষিত সচেতন সমাজ।

থানার দায়েরকৃত অভিযোগ ও পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কামাল হোসেন জানান; উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়কের পাশে বাসষ্ট্যান্ডে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে একই গ্রামের ইউসুফ ভূইয়ার সংগে তার চাচাতো ভাই রাজু আহমেদ (৩০), মোঃ আলমগীর (৩৫), মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) মতবিরোধ ও মামলা মোকাদ্দমা চলমান রয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫ টায় যখন কসবায় আইনমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছিলো ওই মুহুর্তে  পুলিশের ব্যস্ততার সুযোগে রাজু আহমদের নেতৃত্বে বর্নীত আসামীরা আবু ইউসুফের বাসার  নিচে মেসার্স শাহজালাল  ট্রেডার্সের ভিতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে  আবু ইউসুফকে রক্তাক্ত জখম করে এবং প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ক্যাশের ড্রয়ার থেকে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও প্রতিষ্টানের  ৮ কোটি  টাকা বকেয়া হিসাবের খাতা ছিনিয়ে  নিয়ে যায়।

প্রতিষ্ঠানের উপরে দোতলা বাসা থেকে স্ত্রী শিরিনা আক্তার (৪০), কন্যা আফরিন জাহান (১৪) আবু ইউসুফ ভূইয়ার আর্তচিৎকার শোনে বাসার নিচে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ইউসুফ ভূইয়াকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে তাদের বেদম মারধোর করে কাপড়-চোপর টেনে ছিড়েঁ চুলের মুঠি ধরে টানা হেঁচড়া করে এবং শ্লিলতাহানী ঘটায়।

আবু ইউসুফ জানান; রক্তাক্ত অবস্থায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে পথে এসকল দুবৃত্তদের দ্বারা বাধাগ্রস্থ হই। পরে এলাকার লোকজনদের সহায়তায় কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেই। কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে আমাদের অবস্থার অবনতি দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

আবু ইউসুফের স্ত্রী শিরিনা আক্তার জানান ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন করেও আমি কোনো প্রতিকার পাইনি । এবিষয়ে মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা জানান; আমরা গতকাল এ ঘটনায় জড়িত দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করে কোটে প্রেরন করেছি। এবিষয়ে নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৬ তারিখ-১০-০২-২০২৪ ইং ।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ জানান; আসামী রাজু আহম্মেদ ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছি। তাদেরকে কোট হাজতে পাঠিয়েছি। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে  উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক  রুহুল আমিন ভুইয়া বলেন; পুলিশ কেন ট্রিপল নাইনের ম্যাসেজ মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি  তা তদন্ত করা প্রয়োজন। এতে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নোবিদ্ধ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.