লাল কার্ড ও চারগোলের রোমাঞ্চে কেউই জেতেনি

প্রশান্তি ডেক্স॥ মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে শেষ দুটি ম্যাচে জিততে পারেনি আবাহনী। আর বছরের শুরুতে ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে তো এগিয়ে থেকেও হারতে হয়েছে। গত শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের ম্যাচে দুই গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের দেখা মেলেনি আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দলের। লাল কার্ডের ম্যাচে মোহামেডান পিছিয়ে পড়ে দারুণ প্রত্যাবর্তনে স্কোরলাইন ২-২ করে আবাহনীকে জিততে দেয়নি।

আবাহনী ৯ ম্যাচে চতুর্থ জয় ও তৃতীয় ড্রতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে। সমান ম্যাচে মোহামেডান চার জয় ও পঞ্চম ড্রতে ১৭ পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে। দুই চিরপ্রতিদ্ধন্ধির ড্রয়ে লাভ হয়েছে বসুন্ধরা কিংসের। এক ম্যাচ কম খেলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

গত শুক্রবার ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচ ঘড়ির দ্বিতীয় মিনিটে গোল পেয়ে যায় আবাহনী। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ব্রুনো রোকার ফ্রি কিক হাওয়ায় ভেসে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জড়িয়ে যায় জালে। লাফিয়েও নাগাল পাননি মোহামেডানের গোলকিপার সুজন হোসেন।

১১ মিনিটে মোহামেডানও পারতো সমতায় ফিরতে। তবে উজবেকিস্থানের মিডফিল্ডার মুজাফফরভের ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে গেলে হতাশ হতে হয় সমর্থকদের।

৩৮ মিনিটে পাপ্পু হোসেনের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় আবাহনী। কামরুলের ক্রস প্রথম দফায় ফেরান পাপ্পু, ওই বল পেয়ে মুজাফফরভের ভলি ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান এই গোলকিপার।

বিরতির পর ভালোই শুরু করেছিল আবাহনী। ৫৫ মিনিটে আবাহনী ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। ডান প্রান্ত থেকে ওয়াশিংটনের মাপা ক্রসে আরেক ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোকার হেড গোলকিপার সুজন হোসেন ধরার আগে এক টাচে পেছনের দিকে নিয়ে দ্রুত ওই জায়গা বদল করে এক টোকায় জাল কাঁপান।এরপর  মোহামেডানের ভাগ্য খুলে যায়। দুই পেনাল্টি থেকে হার এড়ায় আলফাজ আহমেদের দল।

৬৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় মোহামেডান। ইমানুয়েল টনিকে পেছন থেকে বাধা দেন মোহাম্মদ হৃদয়। রেফারি সায়মন হাসান পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি। স্পট কিক থেকে সুলেমান দিয়াবাতে দেখেশুনে বুলেট গতির শটে পাপ্পুর ডান দিক দিয়ে জাল কাঁপান। যদিও পাপ্পু বলের লাইনে ঝাঁপালেও নাগাল পাননি।

৭২ মিনিটে আবাহনীর দুর্ভাগ্য। তৃতীয় গোল পেলো না। বক্সের একটু বাইরে থেকে ব্রুনো রোকার মাপা ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।

৭ মিনিট পর মোহামেডান সমতায় ফেরে। থ্রো-ইন থেকে কামরুলের লং বল বক্সের ভেতরে  আবাহনী এক ডিফেন্ডারের হাতে লাগে। পেনাল্টির বাঁশি বাজলে দিয়াবাতে দারুণ এক শটে গোল করে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান। তবে রেফারির এমন সিদ্ধান্ত আবাহনীর ডাগ আউটে মেনে নেতে পারেননি ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম। সহকারি রেফারির সঙ্গে কথা বলে সায়মন হাসান দৌড়ে এসে লাল কার্ড দেখে তাকে মাঠ থেকে বিতাড়িত করেন। এ নিয়ে রেফারির দিকে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে সবাই।  এই সময় খেলা বন্ধ ছিল কয়েক মিনিট।

খেলা শুরু হলে স্কোরলাইনে আর বদল হয়নি। দুই দলই এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.