‘বাংলাদেশের ৫৭সেনা কর্মকর্তার হত্যার বিচার অদৌ কি হবে?’

প্রশান্তি ডেক্স॥ পিলখানায় বাংলাদেশের ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার হত্যার বিচার দাবি করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান। গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) উদ্যোগে ‘ভারতীয় আগ্রাসন মুক্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ও ভারতীয় পরিকল্পনায় পিলখানায় সেনা হত্যার প্রতিবাদে’ মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আজকের বাতাসের মধ্যেও হাহাকার। এই দিনে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ফলে বাংলাদেশের চৌকস ৫৭ সেনা কর্মকর্তার জীবন নেওয়া হয়েছিল। ইতিহাসের সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সেদিন ভারতের ইন্ধনে বাংলাদেশের ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এতদিন পরেও আমরা কেন এই দিনটিকে শহীদ সেনা দিবস হিসাবে ঘোষণা করতে পারি নাই?…এই বিচার না হওয়ার দায় সরকারকেই নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল বারো দলীয় জোটের মিছিল ছিল। সেখানে পুলিশ বাধা দিয়েছিল। দেশটি বাংলাদেশের পুলিশের নাকি? বাংলাদেশের পুলিশ শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে আর শেখ হাসিনা ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এজন্য এই সমস্যা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান বলেন, ‘ইতিহাসের সর্ব নিকৃষ্ট অমানবিক যে ঘটনাটি ঘটেছিল, তা হলো ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের ফলে বাংলাদেশের ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেদিন কারা কারা বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত ছিল সেটা দেশের মানুষ সবাই জানে। এই সরকারের ইন্ধনে এবং ভারতের সমর্থনে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল।’ জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব প্রফেসর আব্দুল করিম, জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধার শওকত আমিন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.