বাংলাদেশ অফশোর বিডিং ২০২৪ ঘোষণা

বাআ ॥ তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকে আরো বেগবান করতে বাংলাদেশ অফশোর বিডিং ২০২৪ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪ উপলক্ষ্যে পেট্রোবাংলার অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এক নজরে মডেল পিএসসি ২০২৩: ২০১৯ সালে অফশোর এবং অনশোরের জন্য আলাদাভাবে পিএসসি হালনাগাদ করা হলেও করোনা মহামারির জন্য বিড রাউন্ড আয়োজন সম্ভব হয়নি। তবে করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতির সাথে সাথে তেলের বাজারেও বেশ অস্থিরতা দেখা যায়। ফলে অনুসন্ধান কার্যক্রমে ভাটা লক্ষ করা যায়। সে প্রেক্ষিতে অফশোর মডেল পিএসসি ২০১৯-কে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আরও যুগোপযোগী ও প্রতিযোগিতামুলক করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে পরামর্শকের মতামত এবং পেট্রোবাংলার নিজস্ব পর্যালোচনার উপর ভিত্তি করে Bangladesh Offshore Model PSC ২০২৩ প্রণয়ন করা হয় যা ২৬ জুলাই ২০২৩ তারিখ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

এবারের পিএসসিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:  * নতুন পিএসসি-তে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিসমূহকে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় অনুসন্ধানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু আকর্ষণীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো, গভীর ও অগভীর সমুদ্রাঞ্চলের উভয়ের জন্য বাৎসরিক Cost Recovery সর্বোচ্চ ৭৫%করা। এই পরিবর্তনের ফলে কন্ট্রাক্টর তার বিনিয়োগকৃত অর্থ দ্রুত ফেরত পাওয়ায় একদিকে উৎসাহিত হবে অপরদিকে Cost Recovery দ্রুত শেষ হলে পেট্রোবাংলা তথা সরকারও দ্রুত অধিক হারে লভ্যাংশ প্রাপ্ত হবে।

* Profit Sharing-এর ক্ষেত্রে পিএসসি-তে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ইতঃপূর্বে পিএসসি-তে Profit Sharing -এর পদ্ধতি production based ছিল যা বর্তমান পিএসসি-তে Profitability Based (R-Factor)  অনুসরণে করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে কন্ট্রাক্টরের বিনিয়োগকৃত অর্থ যৌক্তিক সময়ে ফেরত প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে সাথে সাথে লভ্যাংশ শেয়ারের Upper limit ও Lower Limit  বিডেবল রাখার কারণে সরকারের আরও বেশি লভ্যাংশ প্রাপ্তির সুযোগ রাখা হয়েছে।

* গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইতঃপূর্বে ব্যবহৃত মার্কার প্রাইস HSFO-এর পরিবর্তে অগভীর এবং গভীর সমুদ্রাঞ্চলের গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের জন্য মার্কার প্রাইস হিসেবে Brent ব্যবহার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে Brent -এর ১০%। পূর্বের ন্যায় ফ্লোর এবং সিলিং না থাকায় গ্যাসের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো: নূরুল আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.