কসবায় ইরি – বোরো ধানি জমিতে মাজড়া পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণে দূ:শচিন্তায় কৃষক

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় চলতি মৌসুমে উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ইরি- বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে। ভালো ফলনের আশায় কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের ছাপ দেখা দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ধান হ্মেতে মাজড়া পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণে কৃষকরা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি জমিতে ইরি- বোরো ধান চাষাবাদের আওতায় এসেছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাতে চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার ৭ শত ৭৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষ হয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির ধানের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান-২৮, ৬৭, ৭৪, ৮১, ৮৮, ৮৯, ৯২, ৯৯, ১০২, ও বঙ্গবন্ধু ১০০, বিনা ধান ২৪ ও ২৫। হাইব্রিড ধানের মধ্যে রয়েছে হিরা, এসএম ৮৮, শক্তি-২ ও রূপালী-৭। তবে এ বছর বেশিরভাগ জমিতে কৃষক হাইব্রিড প্রজাতির ধানের চাষ করেছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ধানক্ষেতের অবস্থা মোটামুটি ভালো। মাঝেমধ্যে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেশিরভাগ ধান হ্মেতের পাতা লালচে বর্ণ ও মাজড়া পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ইঁদুরের আক্রমণে অধিকাংশ ইরি- বোরো হ্মেত ক্ষতির মুখ পড়েছে।

কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কৃষকের সবিক্রম, ট্রয়, প্রলয়, সেলট্রিমা, নীল প্লাস, বিষ ও পটাশ প্রয়োগ করছেন।

কায়েমপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম মিয়া জানান, ধান হ্মেতে পোকার উপদ্রব দেখায় উপ সহকারী কৃষি অফিসারের খোঁজখবর না পেয়ে কীটনাশক ওষুধ বিক্রেতা কসবা সরকার বীজ ভান্ডারের পরামর্শ নিয়ে কীটনাশ ব্যবহার করছি।

শিকারপুর গ্রামের কৃষক জাকির ভূঁইয়া বলেন, ইঁদুরের আক্রমণে ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইদুর মারার ফাঁদ ও ঔষুধ প্রয়োগ করার সত্বেও ইঁদুর নিধন করতে পারছিনা। একদিকে পোকার আক্রমণ অন্যদিকে ইঁদুরের উপদ্রবে কৃষকরা দিন দিন হতাশ হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাজেরা বেগম বলেন, আমরার অফিসের উপ-সহকারীরা সার্বক্ষণিক ধানের হ্মেত পরিদর্শন করছে। সবকিছু মিলিয়ে কৃষকরা ভালো ফলন গড়ে তুলতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.