ঈদ পরবর্তী কুশলাদী

ঈদুল ফিতরের আনন্দ বহমান থাকাবস্থায় বাঙ্গালী পেল তাদের আরেকটি আনন্দের দিন। পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষের আনন্দ। এই দুই আনন্দের মাঝেই বহমান রয়েছে ঈদ পরবর্তী কুশলাদী বিনিময়ের পালা। দুটি ছুটি উপভোগ করে কর্মজীবনে ফিরে এসেছে কর্মজীবিরা। কর্মক্ষেত্রে, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কুশলাদী বিনিময়ের পর্ব এখনও শেষ হয়নি। তাই কাজের ফাকে ফাকে মানুষ এখন কুশলাদী মত্ত্ব রয়েছে। তারপরও জীবন চলছে জীবনের গতিতে এবং সময় চলছে সময়ের গতিতে।

এই সময় এবং জীবনকে একত্রিতকরণের ক্ষেত্রেই যত বাধা ও বিপত্ত্বি। সময়কে সামলাতে গিয়ে জীবনকে সামলাতে পারছে না আবার জীবনকে সামলাতে গিয়ে সময়কে সামলাতে পারছে না। এই দুইয়ের কাছে মানুষ এখন জিম্মি। সময় ও জীবন এই দুইটিই সৃষ্টিকে এখন নাকানি ও চুবানি খাওয়াচ্ছে। তাই এর থেকে রেহাই পাবার উপায় খুজতে এখন ব্যবস্ত সবাই। কিন্ত এখানেও বিপর্যয়। তাই সকল বিপর্যয়ের অবসানকল্পে এখই চিন্তা ও পরিকল্পনা এবং দৃশ্যমান বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

সরকারী অফিস ও বেসরকারী অফিস দুটোই এখন মুখোমুখী। একে অন্যকে যেন সহ্য করতে পারছে না। কারন কি? কারণ উদঘাটন জরুরী নতুবা নতুন কোন বিপর্যয়ের সম্মুখীন আসন্ন। যেখানে সরকারী অফিস ও বেসরকারী অফিস একে অন্যের পরিপূরক হওয়ার কথা সেই এই বৈষম্য আমাদের সুন্দর আগামীকে বাধাগ্রস্থ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সেবা গ্রহীতারা সেবার বদলে পাচ্ছে নির্দয় ও নির্মম এমনকি অসেবামূলক আচরণ। সেবার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরতে সময়, অর্থ, কাপর-চোপর, জুতা এইসকল কোনটিরই অস্থিত্ব থাকেনা বরং অস্থিত্ব বিলিনের পথে নিমজ্জ্বিত। এই বিষয়ে গুরুত্বারূপ করা আশু প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ বলতে কেউ যদি থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। আর সরকারকে এই বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি পাশাপাশি তদারকি জোরদ্বারে করজোড়ে মিনতি করছি।

ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে যুগোপযোগী করে ব্যবহারের অনুরোধ রাখছি। ধর্মের সঙ্গে কর্মের মিলনমেলা ঘটানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানাচ্ছি। ধর্ম এবং ধর্মীয় মূল্যবোধগুলোই পারে জাতিকে চেতনা ফিরিয়ে দিতে এবং কার্যকরী ইতিবাচক মঙ্গল ও কল্যাণকার ব্যবহারের সুশৃঙ্খল ফল ভোগ করাতে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে সকল খারাপি বিতারিত করতে। সকল নেতিবাচকতাকে পরাভূত করতে।

হামছে বড়া কন হে… এই মনোভাবাপন্ন মানুষগুলোকে স্ব শিক্ষা থেকে বের করে এনে শুশিক্ষায় শিক্ষিত করে আদর্শবান হয়ে সমাজ বির্নিমানে ভুমিকা রাখতে সহায়তা করতে। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত্ব জ্ঞান ব্যবহার করে সৃষ্টির কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে। সুখকর কূশলাদীর মাধ্যমে আগামীর মৈত্রীর মেলবন্ধন মজবুত হউক। কর্মময় জীবন সমুজ্জ্বল হউক। সেবার মানুষিকতায় পরিবর্তন আসুক এবং অসততার শৃঙ্খল ভেঙ্গে সততার ছায়াতলে বসবাসের ব্যবস্থা উন্মুক্ত হউক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.