বর্তমানের ঐক্যবদ্ধতায় মিলবেনা জাতির ভাগ্যাকাশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা। বর্তমানের ঐক্যবদ্ধতায় যে ফাটল দেখা যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট প্রতিয়মান হচ্ছে যে, এই জাতি আর কোনদিন ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না। আগে ছিল এই জাতি তৃধাবিভক্ত আর এখন হচ্ছে বহুধা বিভক্ত। তবে এই বিভক্তি জুলাই ২৪শে ছিল মাত্র দ্বিভাগে প্রকাশিত। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে এই বিভক্তির গতি প্রকৃতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর সংখ্যার সংখ্যাধীক্য ব্যাপক হারে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। এই বিভক্তিতে জাতি আজ হতাশ।
বিগত দিনে জাতি দুটি ধারায় বিভক্তি দৃশ্যমান রেখেছিল; একটি স্বাধীনতার পক্ষে এবং আর একটি স্বাধীনতার বিপক্ষে। সেই ধারা থেকে বেড় হয়ে এসে এখন অগণিত ধারায় উপনিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হওয়ার উপক্রমে পরিণত হয়েছে। আগের দুটি ধারার বিভক্তিতে জাতি অস্বস্তি বোধ করেছিল। আর মনেপ্রাণে চেয়েছিল বাংলাদেশে কোন ধারায় আর বিভক্তি কাম্য নয় বরং আমরা বাংগালী ও বাংলাদেশী চেতনায় স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করব। কে স্বাধীনতায় পক্ষে আর কে বিপক্ষে এই বিভেধে আর বিভক্তি না করে বরং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই চেতনায় বিভেদ সৃষ্টিকারীরা আজও দৃশ্যমান বর্তমান এবং ভভিষ্যতকে আরো অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
দোষে গুণে মানুষ। তাই এইসকল বিভেধ থেকে বের হয়ে আসুন। কারণ একজন যেটাকে ভাল মনে করেন আরেকজন সেটাকে ভাল নাও মনে করতে পারে এবং উভয়েরই মতের প্রতিফলন ঘটানোর অধিকার স্বাধীন এই সোনার বাংলায় রয়েছে। তাই ভিন্ন মতের প্রতিফলন ও কার্যক্রম দেখলেই দেশবিরোধী এবং স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে তকমা লাগানো বন্ধ করুন। গণতন্ত্রের বিউটিকে প্রস্ফুটিত করুন। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে প্রজ্জ্বলিত করুন। গনতন্ত্রের স্বাধীনতায় ফিরে আসুন। গনতন্ত্রকে দৃশ্যমান রাখুন। বাংলার আকাশে বিভেদ আর বিভক্তির ভেড়াজাল অবমুক্ত করুন। সকলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং শান্তি ও শৃঙ্খলা আর নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তায় ঐক্যবদ্দ অবস্থান পরিস্কার করুন।
যতই দিন যাচ্ছে ততই অন্ধকার ঘনীভূত হচ্ছে। আপনারা একটু চিন্তা করুন: আমরা সবাই কি বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মালিক? যদি তাই হই তাহলে কেন আমাদের মাঝে এই মতান্তর ও ধ্বংসাত্মক চিন্তা? একটু চিন্তা করুন আমরা সবাই কি দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণ কামনা করি? তাহলে কেন আমার ও আপনার মাঝে এই দৃশ্যমান বিভেদ? আবারো একটু ভাবুন: আমরা কি দেশবাসির সেবায় নিয়োজিত হতে চায় এবং সেবক হিসেবে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে চাই? তাহলে কেন এত বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসাত্মক দৃশ্যমান কর্মকান্ড। সবাই চাই দেশের ও দেশের মানুষের কল্যাণ এবং উন্নয়ন তাহলে কেন এই বিভেদের রোষানলে দগ্ধ বিদগ্ধ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র এবং সমাজ ও সংস্কৃতি আর সংসার সর্বোপরি আমার প্রিয় এই বাংলার। প্রশ্নগুলি এবং প্রশ্নবানে বলা কথাগুলি নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একটু ভাবুন এবং নিজ নিজ ভুবনে ভাবনার ফলাফল প্রকাশে নিয়োজিত থাকুন।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি; পদ্ধা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা এই কথাগুলি আমরা বলি কিন্তু সেই অনুযায়ী কি চলি নাকি অন্য কোন অদৃশ্য শক্তির ছায়ায় চলি তাও খুজে দেখা উচিত। আমরা মানুষ এবং সৃষ্টির সেরা জীব নামে খ্যাত। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে তাঁর সিফতে সৃষ্টি করেছেন এবং সম্মানিত ও সান্নিধ্য লাভ কারিদের অন্যতম জায়গায় অধীষ্ঠীত করেছেন। সৃষ্টিকর্তা তাঁর সকল সৃষ্টির সমাপ্তির পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন অতি উত্তম ও চমৎকার। হ্যা আমরা সেই অতি উত্তম ও চমৎকার ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে কি সেই চমৎকারিত্বে বা অতি উত্তম অবস্থানে আছি? একটু ভেবে দেখুন। কেন নাই বা কিসের অভাব সেই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো খুজে বের করে পুনরায় সেই চমৎকার বা অতি উত্তম অবস্থানে ফিরে যেতে কি কোন আকাঙ্খা আছে? যদি থাকে তাহলে কি করতে হবে এবং কি করা উচিত তা ভাবার সময় এসেছে এবং এই ভাবনায় সৃষ্টিকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ভাবনার ফলাফলে মনোযোগ বা মনোনিবেশ করতে হবে। তাহলেই সৃষ্টিকর্তার সেই অতি উত্তম ও চমৎকার অবস্থানে ফিরে যাব এবং সেই প্রত্যাশিত ও কাংখিত শান্তি, স্থিতিশীলনা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা দৃশ্যমান এবং বিরাজমান রাখা ও দেখা সম্ভব হবে।
বর্তমানের বাংলাদেশ মানুষের আশা ও আকাঙ্কা পুরণের। কিন্তু এই আশা ও আকাঙ্খা পুরণের ক্ষেত্রে সকল নেতিবাচকতা দৃশ্যমান। তাই বার্তমানের দ্বারা ভবিষ্যতের সুন্দর ও স্থিতিশীল আশা আকাঙ্খা এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা আর সম্ভব নয়। তাই বর্তমানের প্রতি মানুষ হতাশ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তবে যারা ভবিষ্যতের কথা বলছেন তাদের উপরও মানুষের আশা আকাঙ্খা নেই। কারণ ইতিমধ্যে তারাও প্রমানিত। তাই নতুনের সন্ধানে মানুষ দিশেহারা পথ পারি দিচ্ছে। কিন্তু একটি নতুন স্বপ্ন মানুষ দেখেছিল ছিল সেই স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনাশ। তাই মানুষ এখন সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভরশীল হয়ে তাঁর সাহার্য কামনায় ব্যতিব্যস্ত। স্বপ্নের আশা ও শান্তির আশা এবং নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তার বিধান আর মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। তাই বার বার প্রমানিত হয়েছে। এখন সেই মানুষ দরকার যারা মানুষ নয় বরং মানুষ নামের ফেরেস্তা হয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতিচ্ছবি প্রকাশ করে। সৃষ্টির কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে তাঁর দেয়া দায়িত্ব তাঁরাই সাহায্যে সম্পন্ন করে যাচ্ছে।
আসুন আমরা সেই মানুষ খোজি এবং সেই মানুষের সন্ধানে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য চাই যেনে তিনি সেই মানুষ আমাদেরকে যুগিয়ে দেন আর তাঁরই অভিপ্রায়ের পরিপূর্ণতার সমাপ্তি টানেন। এই মানব জাতি বড়ই অসহায়। আর তা শুরু হয়েছিল বাবা আদম ও মা হাওয়াকে বেহেস্ত থেকে বিতারিত করার পর। যা আজও বিদ্যমান রয়েছে। তাই সৃষ্টিকর্তাবিহীন জীবন অসম্পূর্ণ এবং অসহায় এবং অনিশ্চিত। তাই সহায়, সম্পূর্ণ এবং নিশ্চিত জীবনের প্রয়োজনে সৃষ্টিকর্তাকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করি এবং তাঁরই মহিমায় উদ্ভাসিত হই। দুনিয়াকে বেহেস্তের আবরণে সৃষ্টিকর্তায় অভিপ্রায়ের প্রতিচ্ছবি হিসেবে সু প্রতিষ্ঠিত করি। মহান খোদা তায়ালা আমাদেরকে এই সুযোগ দিন। আমাদেরকে ব্যবহার করুন। আমাদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করুন। একে অন্যকে ভালবাসতে এবং একে অন্যের পরিপূরক হইতে সাহায্য করুন। ক্ষমা প্রদর্শন ও ভালবাসা প্রদর্শন করতে সাহায্য করুন। সন্দেহ এবং বিভেদে জরানো থেকে বিরত রাখুন। শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করুন। শয়তানকে আশরাফুল মাখলুকাত থেকে দূরে রাখুন। সোনার বাংলাকে সোনার বাংলায় পরিণত করুন। সার্বজনীন ঐক্য এবং সম্প্রীতি ও সৌহাদ্য আর সম্বৃদ্ধিতে ভরপুর করুন। এই আমার ফরিয়াদ মহান রবের নিকট।