প্রশান্তি ডেক্স॥ ঝুঁকি সীমার নিচে থাকা বিদেশী ঋণের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে গণভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ বিভাগ কর্তৃক “”Offshore Tax Amnesty” এবং ‘শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সমস্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক উপস্থাপনা অবলোকন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ […]
প্রশান্তি ডেক্স॥ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপির আমলজুড়েই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় দেশ। অথচ আজ (আওয়ামী লীগ সরকারের সময়) কেমন আছে গ্রামের মানুষ? ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। প্রত্যন্ত গ্রামের হারিকেনটিও এখন চলে গেছে জাদুঘরে। গত রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সজীব […]
বা আ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু দেশকে, যারা এখনও টিকা দেয়ার লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে, তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের অবদান বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘দুর্ভাগ্যবশত, কিছু দেশ এখনও তাদের টিকা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে। এই দেশগুলি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ মনোযোগ এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা […]
বলা হয়, ‘সংসদের অভিমত এই যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘোষণার মধ্য দিয়ে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার যে প্রত্যাশ্যা দীর্ঘদিন এ জাতির ছিল তা পূরণ হওয়ায় বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদকে এই বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হোক।’ আলোচনায় অংশ নিয়ে […]
প্রশান্তি ডেক্স॥ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন। ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত সরকার বিভিন্ন কৃষি কর্মসূচিতে ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩ জন কৃষকের মাঝে ৮২৭.১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফাইড টুইটার বার্তার মাধ্যমে শেয়ার করা একটি নিবন্ধে এসব তথ্য তুলে […]
বা আ॥ আজকে বিদেশের বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্র বাংলাদেশকে বাহবা দিচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীচক্র চায় বাংলাদেশ যেন সফল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না হয় সেজন্য নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার, বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ছোটবেলা থেকেই দেখেছেন […]
বা আ॥ সরকারি সেবা থেকে জনগণ যেন বঞ্চিত না হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত রোববার সকালে শাহবাগের বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। কাজেই সেই জনগণকে ঘিরেই আমাদের সমস্ত কাজ। জনগণের সার্বিক উন্নয়নটাই আমাদের লক্ষ্য।” “আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে… […]
বা আ॥ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে গত ২ এপ্রিল ২০২২ তারিখ বিকাল ৪ টায় সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপহার ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বেচ্ছাসেবক […]
বা আ॥ বিএনপি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক গংদের সার সিন্ডিকেটের কারণে, সার কিনতে পারতো না গ্রামের কৃষকরা। একারণে ফসল উৎপাদন কমে যায় দেশে। তিন থেকে চার কোটি প্রান্তিক কৃষক পরিবারের দু-বেলা ভাত জোটানো অসম্ভব হয়ে ওঠে। সেই সুযোগে বিএনপির নেতাকর্মীরা দাদন ব্যবসা জমিয়ে তুরে সর্বশান্ত করে ফেলে কৃষকদের। এমনকি ফেন্সুগঞ্জ সার কারখানা থেকেও লাখ […]
প্রশান্তি ডেক্স॥বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মরণীয় পাঁচ দশকে আমার এভাবে ভাবতে ভালো লাগছে যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অংশীদার এবং আমরা আগামী ৫০ বছরে সেই অংশীদারিত্বকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। আমরা ১৯৭২ সালের এই দিনে বন্ধুত্বের হাত মিলিয়েছিলাম, তারপর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। আমরা বাংলাদেশের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করেছি, সন্ত্রাসবাদ ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং বাংলাদেশের মানুষের সুস্থ ও সমৃদ্ধশালী জীবনযাপনে সহায়তা করেছি। সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্র মহামারি মোকাবেলায় আপনাদের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে ৬ কোটি ১০ লাখ কোভিড–১৯ টিকা ডোজ অনুদান দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া টিকা ডোজের বৃহত্তম প্রাপক। আমরা সেটাই করেছি যা বন্ধুরা একে অন্যের জন্য করে থাকে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর বিষ্ময়কর। মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়াল দিনগুলো থেকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর দেখা গেল বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে, দেশের অবকাঠামোগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং দেশের অগণিত সেরা মেধাবীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন যে, বাংলাদেশ আর কখনোই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। অনেকেই ভেবেছিলেন যে, বাংলাদেশ চিরকাল অন্যের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল থাকবে। কিন্তু সেই অবস্থা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন বাংলাদেশ সফলতার গল্প হিসেবে বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। বাংলাদেশের জনগণের উদ্যোগ, সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী শক্তির কারণে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও সাক্ষরতার ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করেছে, শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পেরেছে এবং বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। সত্যি বলতে, বাংলাদেশ শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হবে, এটি নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ ও চমকপ্রদ অর্জন। বাংলাদেশ এখন তার প্রতিবেশীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ নগদ তারল্য সঙ্কটের সময় শ্রীলংকার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং মালদ্বীপকে কোভিড সহায়তা দিয়েছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সবচয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী শান্তি নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এদিকে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম হিসেবে কার্বন নিঃসরণকারী প্রধান দেশগুলোকে নির্গমন কমানোর আহ্বান জানানোর ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অর্থায়নের জন্য আহ্বানের ক্ষেত্রেও একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। আমাদের দুই দেশ জুড়িদার, একে অন্যের সঙ্গী। উন্নয়ন সহায়তা যদিও এখনো গুরুত্বপূর্ণ, তবে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমানভাবে বাণিজ্যকেন্দ্রিক হচ্ছে, আগের মতো আর সাহায্য নির্ভর নয়। লাভ বা সুবিধাগুলো পারস্পরিক — যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং যতো দিন যাচ্ছে আগের চেয়ে আরো বেশি সংখ্যক আমেরিকান কোম্পানি তাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ অংশীদারদের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করছে। আমাদের জনগণের সাথে জনগণের যে বন্ধন সেটা বাংলাদেশের স্বাধীনতারও আগে থেকে শুরু হয়েছিল। ১৯৫২ সালে ড. ফজলুর রহমান খান প্রথম বাংলাদেশী যিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। তিনি আরবানা–শ্যাম্পেইনের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ডক্টরেক্ট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে তার দেখানো পথ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে, যার শুরুটা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে আমার নিজের বাড়ি যে ইলিনয় রাজ্যে সেখান থেকে। শিকাগোতে উইলিস টাওয়ার এবং জন হ্যানকক সেন্টার আমাদের দুই দেশের জনগণের দীর্ঘ সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির লাগানো বটগাছটি আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের প্রতীক। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একটি অভিন্ন ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমাদের উভয় দেশ স্বাধীনতার জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেছে এবং গণতন্ত্রের প্রতি অগাধ বিশ্বাস দ্বারা ঐক্যবদ্ধ। তারা জানে যে গণতন্ত্র একটি প্রক্রিয়া এবং এর কোন চূড়ান্ত রূপ নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমরা অকথ্য ও অবর্ণনীয় সহিংসতা ও বর্ণবাদের ঘটনা ঘটতে দেখেছি। আমেরিকান জনগণ এই ধরনের সমস্যাগুলো সততার সাথে খোলাখুলিভাবে মোকাবেলা করছে এবং কখনো কখনো তারা মানুষকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে এবং কার্যকর পরিবর্তনের জন্য জোরালো আওয়াজ তোলে। বাংলাদেশেও অনেকেই একই কাজ করছে এবং আমরা তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করি। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া একই ধরনের; তারা চায় একটি প্রাণবন্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী গণতন্ত্র, একটি জবাবদিহিতামূলক বিচার ব্যবস্থা এবং সবার জন্য মৌলিক মানবাধিকার। আমাদের এই অভিন্ন চাওয়া অর্জনে আগামী দশকগুলোতে বাংলাদেশ আমাদের অংশীদারিত্বের উপর আস্থা রাখতে ও নির্ভর করতে পারে।